চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রায় চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। একইসঙ্গে কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত উল্লাহর শাস্তি চান তারা।
শনিবার রাজধানীর তোপখানা রোডের ফারইস্ট টাউয়ারের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তারা এসব দাবি জানান। চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহক পরিষদ (প্রস্তাবিত) এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এ সময় গ্রাহকদের পাওনা দ্রুত পরিশোধের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ফারইস্ট ইসলামী লাইফের সাবেক জোনাল ইনচার্জ ও পরিষদের আহবায়ক এস এম নুরুল্লাহ সিদ্দিকী, কোম্পানিটির সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা মনির হোসেন, জেএসভিপি আবদুস সালাম, ক্লেইম বিভাগের ইনচার্জ আকবর আলী, আইটি বিভাগের সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন, ক্যাশিয়ার আনিসুর রহমান, জেভিপি আনিসুর রহমান কামাল প্রমুখ।
চাকরিচ্যুতরা অভিযোগ করেন, ফারইস্ট ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান-মুখ্য নির্বাহী তাদের দুর্নীতি ঢাকতে প্রায় চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অন্যায়ভাবে ছাঁটাই করেছেন। করোনা মহামারীর মধ্যেও অনেকের বেতন ভাতা আটকে রাখা হয়েছে। তারা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
তারা বলেন, ফারইস্ট ইন্স্যুরেন্সের অপসারিত সাবেক চেয়ারম্যান, মুখ্য নির্বাহী ও তাদের দোসররা কোম্পানির ফান্ড, এফডিআরের টাকা আত্মসাৎপূর্বক ফারইস্ট টাওয়ার-২, মিরপুরের এমপ্লয়িজ সোসাইটি ও গুলশানের জমি, গুলশানের বিল্ডিং, বরিশাল ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানের জমি কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা চুরি করেছেন।
এ ছাড়া, কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ফারইস্ট টাওয়ারে ডাটা সেন্টার স্থাপন ও অফিস ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের প্রকৃত খরচের তুলনায় ১০ গুণ থেকে ১০০ গুণ পর্যন্ত খরচ বেশি দেখিয়ে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, প্রধান মুখ্য নির্বাহী হেমায়েত উল্লাহ ও তাদের দোসররা।