প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া এহসান গ্রুপের আট প্রতিষ্ঠানসহ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ও জেএমআর ডিজিটাল ইন্টারন্যাশনালের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানে জড়িত আট ব্যক্তিরও ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এসব ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে। বিএফআইইউ সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় এ হিসাবগুলো ৩০ কার্যদিবসের জন্য স্থগিত থাকবে। এ সময়ের মধ্য এই ১০ প্রতিষ্ঠান ও আট ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে না।
হিসাব স্থগিত থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, এহসান গ্রুপ, এসহান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স, এহসান এমসিএস লিমিটেড, এহসান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ, নুরে মদিনা ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট একাডেমি, মেসার্স নুর জাহান ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট একাডেমি, মেসার্স আল্লার দান বস্ত্রালয়, মেসার্স পিরোজপুর বস্ত্রালয়, কিউকম লিমিটেড ও জেএমআর ডিজিটাল ইন্টারন্যাশনাল।
হিসাব স্থগিত থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে, এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান, তার ভাই আবুল বাশার খান, শামীম এহসান, মাহমুদুল হাসান, সালমা হাসান, সুমনা হক রানী, সাইফুল হক এবং কিউকমের মালিক রিপন মিয়া।
এছাড়া ১৯ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইল, শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণীও চাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন, ই-অরেঞ্জের ‘পৃষ্ঠপোষক’ পুলিশের পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা, সনিয়া মেহজাবিন, ই-অরেঞ্জের মালিক বিথী আক্তার, এমএম ইস্পাহানির এক্সিকিউটিভ মোমেনা আক্তার মাসুমা, গ্রুপ ১৯৭১’র পরিচালক নাজমা সুলতানা পিয়া, মোহাম্মদ জায়েদুল ফিরোজ, অনিরুদ্ধ রাজবংশী, প্রতিমা রাজবংশী, শুভাশিস রাজবংশী, জোছনা রাজবংশী, মো. আতিকুল ইসলাম, লিপি ইসলাম, মোর্শেদা আক্তার রত্না, নিলুফা বেগম, মো. মিজানুর রহমান, রেহেনা আক্তার, মোসা. জিনাত ফাতেমা, মো. আসানুল আজিম এবং মো. নাসিম।