ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য কমিটি গঠনের আদেশের দিন পিছিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। কমিটি গঠনের জন্য প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের ব্যাকগ্রাউন্ড পর্যালোচনা করে আদালত আগামী সপ্তাহে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে আদেশের দিন তারিখ জানানো হয়নি।
এর আগে নির্দেশ অনুযায়ী বুধবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চে তিনজনের নামের তালিকা দাখিল করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইনজীবী তাপস কান্তি বল।
তারা হলেন- ভূমি মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান এবং ভূমি সংস্কার বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী। এর মধ্যে একজনকে রাখা হবে কমিটিতে।
এর আগে ১২ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য কমিটি করে দেয়ার কথা বলেন হাইকোর্ট। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, একজন সচিব, চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট ও একজন আইনজীবীকে কমিটিতে রাখার জন্য অভিমত ব্যক্ত করেন আদালত।
ওইদিন শুনানিতে আদালত আইনজীবীদের উদ্দেশে জানায়, ‘কোম্পানির দুজন সদস্যই কারাগারে। কীভাবে বোর্ড মিটিং হবে? বোর্ড মিটিং করতে গেলেও তা করা যাচ্ছে না। বোর্ড মিটিং না করতে পারলে টাকা কোথায় কী আছে, সে বিষয়েও জানা যাচ্ছে না। আমরা একটি বোর্ড গঠন করে দেব।’
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সব নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। সে আদেশের ধারাবাহিকতায় গত ১১ অক্টোবর ইভ্যালির যাবতীয় নথি হাইকোর্টে দাখিল করে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ। তবে সবশেষ অডিট রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা থাকলেও ২০১৯ সাল পর্যন্ত অডিট রিপোর্ট হাইকোর্টে দাখিল করেছে ইভ্যালি।
ইভ্যালির এক গ্রাহকের পণ্য অর্ডার করার পাঁচ মাস পরও তা বুঝে না পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, ই-ক্যাব, ভোক্তা অধিকারে বারবার অভিযোগ করেন। কিন্তু তাতে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি-হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করে আদালত।
আবেদনে ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্টার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, কনজুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে বিবাদী করা হয়।