প্রতি বছর ইঁদুর প্রায় ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকার ফসল নষ্ট করে। গত বছর ইঁদুরের হাত থেকে ৮৯ হাজার ৮৭৬ টন ফসল রক্ষা করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা। সোমবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০২১ ও ২০২০ সালের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত বছর প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ইঁদুর নিধন করা হয়েছে। তার আগে ২০১৯ সালেও ইঁদুর নিধন অভিযানের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ইঁদুর নিধন করে ৩০০ কোটি টাকার ফসল রক্ষা করা হয়েছে।
রাজধানীর খামারবাড়ির আ. কা. মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতি বছর মাসব্যাপী এ ইঁদুর নিধন অভিযান পরিচালনা করে। বর্তমানে এ অভিযান চলছে, যা ১০ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে। জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০২১ এর প্রতিপাদ্য ‘জাতীয় সম্পদ রক্ষার্থে, ইঁদুর মারি একসাথে।’
এ সময় ইঁদুরের ব্যাপক ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষা করার পাশাপাশি ইঁদুর নিধন কার্যক্রমকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানান কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়তই ইঁদুর কৃষকের কষ্টার্জিত ফসলের কয়েকগুণ নষ্ট করে। এ ক্ষতির পরিমাণ বছরে গড়ে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। সবাইকে উদ্ধুকরণের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে ইঁদুর নিধন করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যনিরাপত্তার জন্য ইঁদুর দমন করা অত্যন্ত জরুরি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, সরেজমিনে উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মো. মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আণবিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক মফিজুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সুগারক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক ড. মো. আবু সাইদ মিঞা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।