প্রচ্ছদ কর্পোরেট বার্তা চিকিৎসা ব্যয় কমাতে মেটলাইফের গুরুতর রোগের বিমা চালু

চিকিৎসা ব্যয় কমাতে মেটলাইফের গুরুতর রোগের বিমা চালু

0

পরিবারের একজন সদস্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত হলে অনেক পরিবার পথে বসে যায়। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে দেশে প্রতি বছর প্রায় ৬০ লাখ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে চলে যাচ্ছে। চলমান কোভিড মহামারির সময় তা আরও তীব্রভাবে দেখা গেছে। যাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে, তাদের ব্যয় কম করে হলেও লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আর যাদের আইসিইউ পর্যন্ত যেতে হয়েছে, তাদের কথা তো বলাই বাহুল্য। এমন বাস্তবতায় দেশে গুরুতর রোগের বিমা নিয়ে এসেছে মেটলাইফ বাংলাদেশ।

মহামারি সাধারণত বিমার আওতার বাইরে। এটা বিমার সর্বজনীন নিয়ম। তবে চলমান কোভিড মহামারির মধ্যে দেশের প্রায় সব কটি বিমা কোম্পানি কোভিডজনিত মৃত্যুতে বিমা সুবিধা দিয়েছে। মূলত কোভিডের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই বিমা নিয়ে এসেছে মেটলাইফ বাংলাদেশ।

মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে গুরুতর রোগ সুরক্ষা বিমা চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। স্বাস্থ্যবিমা পরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে ৫২টি রোগকে এই বিমার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্যানসার, কিডনি রোগের মতো গুরুতর প্রাণঘাতী রোগ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে পক্ষাঘাত, বাক্শক্তি লোপ, মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মতো রোগও। এ ছাড়া এ বিমার আওতায় রয়েছে মৌসুমি রোগ ডেঙ্গুও। দেশের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মানুষের অসুস্থতাজনিত মৃত্যুর একটি তালিকা তৈরি করেছে মেটলাইফ। সেই তালিকার ভিত্তিতে ৫২টি রোগকে বিমার আওতায় আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মেটলাইফ বাংলাদেশের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, কোভিডকালে আমরা দেখেছি, মানুষ গুরুতর রোগের বিমা চায়। মানুষের সেই চাহিদা পূরণেই আমরা এই বিমাসুবিধা চালু করেছি। এই বিমা নিয়ে ইতিমধ্যে বিক্রয় প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি মানুষও এই বিমা নিতে আগ্রহ দেখাবে।

এই বিমার বিশেষ দিক হলো, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর হলেও এই বিমার সুবিধা ৮০ বছর পর্যন্ত দেওয়া হবে। বিমার মেয়াদ সর্বোচ্চ ২০ বছর। ৩০ বছর বয়সে কেউ এই বিমা নিলে প্রিমিয়াম দিতে হবে সর্বোচ্চ ২০ বছর, অর্থাৎ সেই ব্যক্তির ৫০ বছর বয়সে এই বিমার মেয়াদ শেষ হলেও তিনি আরও ৩০ বছর বা ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত বিমাসুবিধা পাবেন।

৫২টি রোগ অবশ্য দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ৩৪টি রোগকে জটিল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে আর ১৮টি রোগকে অপেক্ষাকৃত কম জটিল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম জটিল ১৮টি রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এককালীন বিমা সুবিধা দেওয়া হবে। আর ৩৪টি গুরুতর বা জটিল রোগের চিকিৎসা বা বিমা গ্রহীতার মৃত্যুতে পুরো বিমা অঙ্ক দেওয়া হবে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা ও স্বাভাবিক মৃত্যুতে বিমা অঙ্কের পুরো অর্থই পাবেন গ্রাহক।

এ ছাড়া এখন ডেঙ্গুর মৌসুম হওয়ায় এ রোগের মৃত্যুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হবে। বলা হয়েছে, ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যু হলে বিমা অঙ্কের সঙ্গে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ অর্থ দেওয়া হবে।

NO COMMENTS

আপনার মতামত প্রদান করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version