ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির যাবতীয় নথি হাইকোর্টে দাখিল করেছে জয়েন্ট স্টক কোম্পানি। তবে সবশেষ অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও ২০১৯ সাল পর্যন্ত অডিট রিপোর্ট হাইকোর্টে দাখিল করেছে ইভ্যালি।
আজ (১১ অক্টোবর) সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ নথি দাখিল করা হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সব নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
প্রসঙ্গত, একজন ক্রেতা ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডার করার পাঁচ মাস পরও তা বুঝে না পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ই-ক্যাব, ভোক্তা অধিকারে বার বার অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনও প্রতিকার না পাওয়ায় ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ইভ্যালির সবধরনের সম্পদ বিক্রি-হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করেন আদালত।
আবেদনে ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, কনজুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে বিবাদী করা হয়।