পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল অধিগ্রহণের জন্য আলিফ গ্রুপের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি বৃহস্পতিবার আলিফ গ্রুপকে দেওয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজারের বহুল আলোচিত কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল ২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তালিকাভুক্তির পর পরিচালকদের অন্তর্দ্বন্দ্বে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন বিএসইসির দায়িত্ব নেওয়ার পর কোম্পানিটিকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়। এরই অংশ হিসেবে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।
এখন আলিফ গ্রুপের প্রস্তাবে বিএসইসি সম্মতি দেয়ায় সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের আবার উৎপাদন ফিরে আসার পথ আর এক ধাপ এগিয়ে গেল।
আলিফ গ্রুপের পক্ষ থেকে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর। আলিফ গ্রুপের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি কিছু শর্ত দিয়ে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল অধিগ্রহণে সম্মতি দিয়েছে।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, নতুন শেয়ার ইস্যু ও বন্ডের মাধ্যমে মূলধন বৃদ্ধিতে আসন্ন নতুন ম্যানেজমেন্টকে প্রযোজ্য সকল সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট আইনের বিধি-বিধান পরিপালন করে আলিফ গ্রুপকে তাদের প্রস্তাবিত অধিগ্রহণ কার্যক্রম নিষ্পত্তি করতে হবে। সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলকে উৎপাদনে ফেরাতে আলিফ গ্রুপ অবিলম্বে কাজ শুরু করবে। এ জন্য গ্যাস লাইনসহ অন্যান্য সকল ইটিলিটিজের সমস্যা কাটিয়ে তুলবে। আলিফ গ্রুপকে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের ব্যাংকের দায় মেটাতে হবে। আলিফ গ্রুপের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ও আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংকে সিকিউরিটিজ আইন মেনে ঝুলে থাকা সব এজিএম সম্পন্ন এবং আর্থিক প্রতিবেদনে দাখিল নিয়মিত করতে হবে।
এছাড়াও অন্য শর্তগুলো হলো, শেয়ার মানি ডিপোজিটের বা সংগৃহীত অর্থ পৃথক ব্যাংক হিসাবে রাখতে হবে। যা দিয়ে শুধুমাত্র ব্যাংকের দায় মেটানো ও উৎপাদন চালুর কাজে ব্যবহার করা যাবে। সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের উৎপাদন শুরু করতে আলিফ গ্রুপ সকল উদ্যোগ এবং দায় নেবে।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথকে চেয়ারম্যান করে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে বিএসইসি। এই পরিষদে রাখা সাতজনের মধ্যে বাকি ছয়জন হলেন- ড. মোহাম্মদ শরিয়ত উল্লাহ, ড. এ বি এম শহীদুল ইসলাম, ড. রেজওয়ানুল হক খান, ড. এ বি এম আশরাফুজ্জামান, ড. তৌফিক ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ এহসান।