বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা নিশ্চিত করতে, নিরাপদ এবং পুষ্টিগুন সম্পন্ন খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। দেশের গরিব কৃষকদের জন্য কৃষি খাতের লাভজনক বাণিজ্যিকীকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশি কৃষি পণ্যের শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে সরকার এ খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। কৃষি পণ্যের বাণিজ্য পদ্ধতির আইনি ও কাঠামোগত সংস্কার, পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত কারর জন্য পরীক্ষা পদ্ধতির উন্নয়ন, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত পণ্য সংরক্ষণে অবকাঠামো তৈরি ও উন্নয়নে বাংলাদেশ ট্রেড ফেসিলিটেশন প্রজেক্টসহায়ক হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশি কৃষি পণ্যের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার (৬ অক্টোবর) ঢাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচারের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশি পণ্যের উদপাদন বৃদ্ধি, সংরক্ষণ, বিশ্ববাজারে প্রবেশ সহায়তা, আমদানি ব্যয় ও সময় কমাতে সহায়তা প্রদানের জন্য ‘বাংলাদেশ ট্রেড ফেসিলিটেশন প্রজেক্ট’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রায় ২৭ মিয়িন মার্কিন ডলার ব্যয়ে প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারকে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার ট্রেড ফেসিরিটেশন অ্যাগ্রিমেন্ট বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। এতে করে বাংলাদেশি পণ্যের বিশ্ববাজারে প্রবেশে সহায়তা প্রদান এবং আমদানি ব্যয় ও সময় হ্রাস করতে সহায়ক হবে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এ প্রকল্প আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজতর, স্বয়ংক্রিয়করণ, ঝুকিভিত্তিক পণ্য ছাড় করণ প্রক্রিয়া শক্তিশালী করণ, আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া ও পণ্য প্রবেশ সংশ্লিষ্ট নিয়ম-কানুন অবহিতকরণ ও প্রক্রিয়ার উন্নয়ন, পরীক্ষাগারগুলোর পণ্য পরীক্ষার প্রক্রিয়া ও সক্ষমতা উন্নয়ন এবং পচনশীল পণ্যের বাণিজ্যিকীকরণ সহজ করার জন্য কোল্ড-চেইন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে কাজ করবে।
ঢাকাস্থ ইউএস অ্যাম্বাসির ইউএসডিএ অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যাটাসি মিজ মেগান ফ্রানসিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কার্ল আর মিলার, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং এফবিসিসিআইর পরিচালক আবুল কাশেম খান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ফেসিলিটেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মিকায়েল।