প্রচ্ছদ অর্থনী‌তির বার্তা এডিবি বাংলাদেশের নতুন প্রতিনিধি এডিমন গিন্টিং

এডিবি বাংলাদেশের নতুন প্রতিনিধি এডিমন গিন্টিং

0

বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) নতুন আবাসিক প্রতিনিধির (কান্ট্রি ডিরেক্টর) দায়িত্ব পেয়েছেন এডিমন গিন্টিং। ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক এডিমন মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সংস্থাটির ঢাকা অফিসে বাংলাদেশের প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন।

গিন্টিং মনমোহন প্রকাশের স্থলাভিষিক্ত হলেন। প্রকাশ এডিবির দক্ষিণ এশিয়া বিভাগে উপমহাপরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন।

এডিবি ঢাকা অফিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গিন্টিং বাংলাদেশে এডিবির অর্থায়নে পাঁচ বছর মেয়াদী (২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত) উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করবেন। সেইসঙ্গে করোনা মহামারীর ধাক্কা থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবেন। এডিবি এই সময়ে বাংলাদেশকে ১ হাজার ২০০ কোটি (১২ বিলিয়ন) ডলার ঋণ সহায়তা দেবে।

গিন্টিংয়ের দীর্ঘ ২২ বছর ব্যাংকিং ও উন্নয়ন অর্থায়নে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ বছরই এডিবিত কাজ করছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এডিবির সদস্যপদ লাভ করে। এখন পর্যন্ত এডিবি বাংলাদেশকে ৪৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা ও অনুদান দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গিন্টিং বাংলাদেশে এডিবির কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং সরকার, উন্নয়ন অংশীদার এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নীতিগত আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন।

অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ২৫ কোটি ডলার ঋণ : এছাড়া মঙ্গলবার করোনা মহামারীর পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য এডিবি ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এডিবির ২৫ কোটি ডলারের চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ দুই হাজার ১২৫ কোটি টাকা।

সোমবার (৪ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় এডিবি। এ অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কর্মসূচির প্রথম সাব- প্রোগ্রামের অধীনে। রাজধানীর একটি হোটেলে ঋণ চুক্তিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ নিজ নিজ পক্ষে সই করেন।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘উদ্দীপক ও প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে চলমান কোভিড মহামারীর কারণে জীবন ও জীবিকার সহায়তার জন্য বাংলাদেশ বাস্তববাদী নীতির অধীনে সম্প্রসারিত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আমি আনন্দিত যে, আমরা আজ যেসব সংস্কার করছি, তা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ায় সহায়তা করবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কর্মসূচির নারী উদ্যোক্তাদের, বিশেষ করে যারা ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে, তাদের অর্থায়ন করতে সহযোগিতা করা হবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট অংশসহ ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালু করা হবে এই কর্মসূচির আওতায়।

NO COMMENTS

আপনার মতামত প্রদান করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version