চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২৩ দিনে দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৯ কোটি ১৭ লাখ (১.৩৯ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। টাকার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ৩০ পয়সা ধরে) যার পরিমাণ ১১ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা। আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮১ কোটি (১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার বা ১৫ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা। যা আগের মাস জুলাইয়ের চেয়ে ৬ কোটি ১৪ লাখ ডলার কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৮ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৭ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬১ লাখ ডলার। দুইটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে একটিতে এসেছে তিন কোটি মার্কিন ডলার।
চলতি মাসের ২৩ দিনে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে ৩৮ কোটি ১১ লাখ ডলার এসেছে। এরপর ডাচ্–বাংলা ব্যাংকে প্রায় ১৬ কোটি ৫৫ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকে ১২ কোটি ১৫ লাখ ও সোনালী ব্যাংকে ৭ কোটি ৬৮ লাখ এবং রূপালী ব্যাংকে এসেছে ৪ কোটি ৮৮ লাখ ডলার প্রবাসী আয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গেল ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। অর্থবছর হিসাবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। তারও আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময় এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।
২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী।