প্রচ্ছদ বাজার বার্তা বাড়ছে ডিম ও মুরগির দাম, স্থিতিশীল সবজির

বাড়ছে ডিম ও মুরগির দাম, স্থিতিশীল সবজির

0

২৩০ টাকার সোনালি মুরগি গত সপ্তাহে ৪০ টাকা বেড়ে হয়েছিল ২৭০ টাকা কেজি। গতকাল শুক্রবার এক সপ্তাহের মধ্যে আরো ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে দাম হয়েছে ২৯০ টাকা।

একইভাবে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছিল ২০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে আরো ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। ১০০ থেকে ১১০ টাকা ডজন ডিমের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।

করোনায় বিপর্যস্ত মানুষের আয় কমলেও বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের দাম। বাসাবোর মুরগি বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পাইকারি বাজারে দাম কোনো বিষয় না, মুরগি পাওয়াই কঠিন। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০০ টাকার মতো বেড়েছে। এজন্য আমরাও খুচরা বাজারে দাম বাড়িয়েছি।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। যা এর আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১০০-১২০ টাকা কেজিতে।

একইভাবে দুই দিন আগেও ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে হাইব্রিড শসা বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা কেজিতে। গতকাল ৫-১০ টাকা বেড়ে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে।

ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি করছেন ১২০-১৪০ টাকা। গাজর ও টমেটোর কেজি বিক্রি করছেন ১০০-১২০ টাকা। এ দু’টি সবজির দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

দাম বেড়েছে ঝিঙে, চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢেঁড়স, পটোল, করলার দাম। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৭০ টাকা। চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা।

এ ছাড়া পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। ঢেঁড়সের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকার মধ্যে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকার মধ্যে। বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৭০ টাকা।

কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা, কাঁচা কলার হালি ২০-৩০ টাকা, লালশাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১৫-২০ টাকা, কলমিশাকের আঁটি ৫-১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে সাইজ ভেদে ২৮০-৩৮০ টাকা। মৃগেল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৮০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা কেজি। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৬০০ টাকা। পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা।

আগের মতো বাজারে ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম এখনো তুলনামূলক বেশি। বড় (এক কেজির ওপরে) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি। আর ছোটগুলো ৫০০-৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

NO COMMENTS

আপনার মতামত প্রদান করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version