কৃষকের ঋণের নীতিমালা সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

0
85

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ পুন:অর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্কিমটি বাস্তবায়নে আরও সহজ করে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষক স্কিমের আওতায় শরিয়া ঋণ নীতিমালা অনুসরণ করে ঋণ পাবেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে স্কিমের বাস্তবায়ন আরও সহজতর করা হয়েছে। স্কিমের জন্য পূর্বে জারি করা সবগুলো নির্দেশনা সমন্বিত করে এবং নতুন কিছু নির্দেশনা যোগ করা হয়েছে।

স্কিম থেকে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান (এমএফআই) বা এনজিও মাধ্যমে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হবে। তিন বছর মেয়াদি এ ঋণের সুদহার হবে ৯ শতাংশ।

নতুন নির্দেশনার মধ্য রয়েছে, ইসলামী শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর শরিয়া ঋণ নীতিমালা অনুসরণ করে এ স্কিমের আওতায় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো (এমএফআই) এই তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে পারবে।

এমএফআই প্রতিষ্ঠানগুলো স্কিমের আওতায় এতদিন তিনটি ব্যাংক থেকে অর্থ নিলেও এখন পাঁচটি ব্যাংক থেকে এ অর্থ নিতে পারবে। স্কিমের মেয়াদ হবে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদহার কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে এক শতাংশ সুদহার হলেও এখন বাংলাদেশ ব্যাংক পুন:অর্থায়নের বিপরীতে দশমিক পাঁচ শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে অর্থ দেবে। আর অর্থায়নকারী ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান বা এনজিওকে ৩ শতাংশ সুদহারে অর্থ দেবে। যা এর আগে ছিল ৩.৫ শতাংশ।

একক গ্রাহকের ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপভিত্তিক ন্যূনতম পাঁচ জনের সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের এককভাবে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা এবং গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা ঋণ দিতে পারবে।

 

আপনার মতামত প্রদান করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here