হাইকোর্টের নির্দেশনায় গঠিত ইভ্যালির বোর্ড মিটিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির অডিট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব কবির মিলন। ধানমন্ডিতে বোর্ড সভা শেষে একথা জানিয়েছেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব কবির।
তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনায় আমরা আজ প্রথম বৈঠক করেছি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে অডিট করা। তবে আমরা কোন ডকুমেন্টস পাচ্ছি না। কারণ প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জেলে। কর্মীরাও চাকরি ছেড়েছে। আমরা শূন্যে ভাসছি। যারা আতঙ্কিত আছেন তারা আতঙ্কিত হবেন না, যারা হতাশ বা বিচলিত তারা হতাশ হবেন না। আস্থা আর বিশ্বাস রাখুন, অপেক্ষা করুন।’
এর আগে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর কোম্পানি আদালতে ইভ্যালি অবসায়নে কমিটি গঠনের আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বোর্ড গঠন করেন।
বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন মাসে ইভ্যালির ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে উঠে আ?সে, ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ ৬৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় বর্তমানে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন কারাগারে রয়েছেন।