ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো বেনিতেজ সোমবার (১৮ অক্টোবর) সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকারে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও স্পেনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যেখানে বাংলাদেশ প্রায় ২.১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে যার বিপরীতে আমদানির পরিমাণ ১৭৭.৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ প্রধানত তৈরি পোষাক খাতের পণ্য স্পেনে রপ্তানি করে থাকে, এছাড়াও বাংলাদেশে উৎপাদিত পাদুকা, কার্পেট, পাটজাত পণ্য, বাইসাইকেল, প্লাস্টিক ও ডেইরি পণ্যে রপ্তানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বাংলাদেশের অবকাঠামো, রেলওয়ে, কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, স্বাস্থ্য সেবা, পর্যটন, অটোমোটিভ, তথ্য-প্রযুক্তি এবং এপিআই প্রভৃতি খাতে স্পেনের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো বেনিতেজ বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ উল্লেখজনক হারে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে। করোনা মহামারীতেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম চলমান ছিল, যা অনুসরণীয় একটি বিষয়। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে তৈরি পোশাক খাতের আধিক্য থাকলেও স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য, অবকাঠামো, রেলওয়ে এবং ভারী যন্ত্রপাতি প্রভৃতি খাতে দু’দেশের বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণে যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
তিনি জানান, ইউরোপীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে কৃষি পণ্য উৎপাদন ও এ বিয়ষক ব্যবসা-বাণিজ্যে স্পেন প্রথম অবস্থানে রয়েছে এবং বাংলাদেশের কৃষি খাতের আধুনিকায়ন ও উন্নত যন্ত্রপাতির ব্যবহার, কৃষি পণ্য বহুমুখীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে স্পেনের প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্বিক নির্দশনসমূহ সংরক্ষণ এবং এগুলোকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে স্পেনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কাজে লাগানোর প্রস্তাব করেন।’