ব্যবসায়িক পরিবেশ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬১ দশমিক ০১

0
84

প্রথমবারের মতো তৈরি করা ব্যবসায়িক পরিবেশ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬১.০১। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নতির দিকে, তবে আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) এবং গবেষণা সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশর (পিইবি) যৌথ উদ্যোগে দেশের প্রথম ‘বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স (বিবিএক্স)’ প্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) অনলাইন প্ল্যার্টফর্মে প্রকাশিত এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের ড. এম মাশরুর রিয়াজ।

বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স তৈরিতে ১০টি মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়েছে।

এগুলো হলো, ব্যবসা শুরু করা, জমির সহজলভ্যতা, নিয়ন্ত্রণমূলক তথ্যের সহজলভ্যতা, অবকাঠামো, শ্রম বিধি-বিধান, বিরোধ নিষ্পত্তি, সীমান্ত বাণিজ্যের সহজীকরণ, কর পরিশোধ, প্রযুক্তির অভিযোজন ও ঋণের প্রাপ্যতা। মোট ১শ পয়েন্টের ভিত্তিতে তৈরি এ সূচকে ব্যবসায়িক পরিবশকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পয়েন্ট ০-২০ হলে, ব্যবসার পরিবেশ কঠিন, ২১-৪০ হলে, ব্যবসায়িক পরিবেশে মারাত্মক প্রতিকূলতা রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। পরবর্তী ২০ পয়েন্টের মধ্যে সূচক অবস্থান করলে, জটিল ব্যবসায়িক পরিবেশ, ৬১-৮০’র মধ্যে সূচক হলে, ব্যবসার পরিবেশ উন্নতির দিকে এবং ৮১-১০০’র মধ্যে সূচক থাকলে, দেশে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ বিরাজ করছে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, এ সূচক শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম নয়, সত্যিকার অর্থেই পুরো বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশকে তুলে ধরেছে। তিনি আশা করেন, বিশদ ও কার্যকর গবেষণা পদ্ধতির কারণে, এ সূচক শিগগিরই বৈশ্বিক উদ্যোক্তাদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

এসময় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ক কর্তৃপক্ষ বিডার নির্বাহী চেয়ার‌ম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাংক তাদের সূচক প্রকাশ বন্ধের ঘোষণা দিলেও দেশের ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে সংস্থাটির কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এমসিসিআই ও পিইবির ব্যবসায়িক পরিবেশ সূচক তৈরির উদ্যোগ বিডার কার্যক্রমে আরও গতি আনবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাংকের ব্যবসা সহজীকরণ সূচক প্রকাশ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্যোক্তাদের জন্য ভবিষ্যত বিনিয়োগ পরিকল্পনা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে এমসিসিআই এবং পিইবির এমন উদ্যোগ সরকারি সংস্থাগুলোর জন্য ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এর ফলে এসডিজি ও ভিশন ২০৪১ অর্জন সহজ হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জানান, বাংলাদেশের অবকাঠামো, পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে জাপান। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ হলে, এ দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের আরও উন্নতি হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এমসিসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির। অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন এফআইসিসিআইর সভাপতি রূপালী হক চৌধুরী, এমসিসিআইর সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এবং বিল্ডের চেয়ারপারসন ও এফবিসিসিআইর পরিচালক আবুল কাশেম খান এবং এমসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি আনিস এ. খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের বিজনেস কাউন্সেলররা।

আপনার মতামত প্রদান করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here