ক্লিনফিড দেওয়া বিদেশি ২৪টি চ্যানেল বাংলাদেশে চালাতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
২৪ বিদেশি চ্যানেলের মধ্যে রয়েছে বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা এইচডি, ডিডাব্লিউ, কেবিএস ওয়ার্ল্ড, এআরআই র্যাংগ টিভি, এনএইচকে ওয়ার্ল্ড, সিজিটিএন, রাশিয়া টুডে, ফ্রান্স ২৪, লোটাস, ট্রাভেল এক্সপি এইচডি, আল কুরান, আল সুন্না, টেন স্পোর্টস, ডিসকভারি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, দুবাই স্পোর্টস, মাস্তি টিভি, বিফরইউ মিউজিক, এমটিভি, স্টার স্পোর্টস ১, স্টার স্পোর্টস ২, স্টার স্পোর্টস ৩, ৪।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চ্যানেল বন্ধ করতে বলা হয়নি। ফলে ক্লিনফিড দেওয়া ২৪টি চ্যানেল সম্প্রচার করা যাবে।
সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাটকো (অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স) প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, বিদেশি যেসব চ্যানেল ক্লিনফিড দিচ্ছে, আমি গতকাল ১৭টি চ্যানেলের কথা বলেছিলাম। আসলে ১৭টি নয়, ২৪টি চ্যানেল। ২৪টির বেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয় না, সুতরাং ২৪টি বিদেশি চ্যানেল চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। আকাশ ডিটিএইচ (ডিরেক্ট টু হোম) এগুলো চালাচ্ছে। অন্যদেরও এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো পত্রের প্রয়োজন হলে আমরা তা ক্যাবল অপারেটরদের কাছে পাঠাবো। এরপরও কেউ যদি এগুলো না চালায় তবে লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ হবে। সুতরাং শর্তভঙ্গের কাজ কেউ করবেন না।
জানা গেছে, আকাশ ডিটিএইচে এরই মধ্যে ক্লিনফিড দেওয়া বিদেশি চ্যানেলগুলো দেখানো হচ্ছে।
অ্যাটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, ইকবাল সোবহান চৌধুরী ক্লিনফিড বাস্তবায়নের জন্য তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
গত এপ্রিল মাসের দিকে দেশে বিজ্ঞাপনসহ কোনো বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার না করার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল সরকার। তবে সেটা পিছিয়ে গত ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়। ওইদিন থেকে বাংলাদেশে বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় ক্যাবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।