চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বৈদেশিক সাহায্য নির্ভর ১৪ টি এনজিওর নিবন্ধন বাতিল করেছে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। এসব এনজিওর বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। এছাড়াও বেশ কিছু এনজিও রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিতে।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর ওয়েবসাইট থেকে জানাগেছে, আগস্ট মাসের ৩১ তারিখে বাংলাদেশ ইনভায়রনমেন্ট হেল্থ এন্ড এডুকেশন (বিইএইচইপি), বাংলাদেশ মেডিকেল রিলিফ ঢাকা ফাউন্ডেশন, ওয়ার্ল্ড ভিউ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন, সৃষ্টি সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন এবং হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এইচডিও) বাতিল করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে ৯ তারিখ গ্লোবাল এ্যাপ্রোচ ফর টোটাল ইম্প্রুভমেন্ট (জিএটিআই), সুরভি সমাজ কল্যাণ সংস্থা (এসএসকেএস), এ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (বিএএসডিও), এ্যাসোসিয়েশন ফর আরবান এন্ড রুরার ডেভেলপমেন্ট (এওআরডি) বাতিল করা হয়। অপরদিকে একই মাসের ১৬ তারিখে ফিনান্সিয়াল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন (এফইডিএ), মৌসুমি স্বনির্ভর দারিদ্র বিমোচন সংস্থা, সমন্বিত মানবউন্নয়ন সংস্থা এবং সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম নামের এনজিওর নিবন্ধন বাতিল করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর এক বলেন, যাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে তাদের প্রতিটির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে তাদের বারবার তাগাদা দেওয়ার পরেও কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি। একারণে নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বৈদেশিক সাহায্য নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মানুযায়ী নবায়ণ না করায় নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
অপর এক কর্মকর্তা জানান, দেশের সকল এনজিওই এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর কাছে দায়বদ্ধ। তারা যে অর্থ দেশে আনে বা খরচ করে তার বিবরণ জামা দিতে হয়। যারা নিয়ম মানেন না তাদের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এনজিও নজরদারি প্রসঙ্গে তারা বলেন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো সরাসরি নজরদারি করে না। স্থানীয় জেলা প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থা এ কাজটি করেন। আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে আমরা সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করি বিষয়টি খতিয়ে দেখেতে। তাদের প্রতিবেদন আসলে আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।