বিদেশি ব্র্যান্ডের মোড়কে শিশুদের ভেজাল প্রসাধন সামগ্রীসহ ১৬ ধরনের ভেজাল প্রসাধন সামগ্রী ও ওষুধ জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ।
এসময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুরান ঢাকার ভেজাল পণ্যের কারখানা বন্ধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শিশুদের ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত জনসনস অ্যান্ড জনসনস কম্পানির নামে ভেজাল প্রসাধন তৈরি হচ্ছে রাজধানীর চকবাজার এলাকায়। ভেজাল পণ্য না চিনলে সন্তানের যত্নে এসব পণ্যই ব্যবহার করছেন অনেক অভিভাবক।
শুধু শিশুদের প্রসাধন সামগ্রীই নয় ত্বক ও চুলের যত্নে ভারতীয় ব্র্যান্ড ডাবুর আমলা, ডাবুর ভাটিকা, ইমামীসহ নানা ব্র্যান্ডের প্রসাধন সামগ্রী। গ্লাসকো স্মিথ ক্লাইন ফার্মাসিউটিক্যালসের ভেজাল ও নকল বেটনোভেট এন ক্রিমও তৈরি করে দেশব্যাপি ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছিলো চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনের দুটি কারখানা থেকে। বৃহস্পতিবার কারখানা দুটিতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা গেলেও কৌশলে পালিয়ে গেছে কারখানা মালিক।
ভেজাল পণ্য তৈরির দায়ে এর আগে গ্রেপ্তার হলেও বেশি মুনাফার লোভে গোপন কারখানায় এসব পণ্য তৈরি করে আসছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ উপ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মো. রাজীব আল মাসুদ বলেন,’জেনেশুনেই দোকানে রাখছে এসব জিনিস। কারণ তারা তিনভাগের একভাগ দামে কিনছে এসব জিনিস। তারা সাধারণ ক্রেতাকে ঠকাচ্ছে এবং ক্ষতির মুখে ফেলে দিচ্ছে।’
পুরান ঢাকার বিভিন্ন পণ্যের ভেজাল কারখানা নির্মূলে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। মো. রাজীব আল মাসুদ আরও বলেন,’আবাসিক এলাকা, দোকান-পাট, কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবগুলো এক সাথে। ঘিঞ্জি এলাকাটা আসলে আমাদের একার পক্ষে বা বিএসটিআই এর একার পক্ষে ক্লিন করা সম্ভব না। সমন্বিত একটা উদ্যোগ প্রয়োজন।’
ভেজাল পণ্য বন্ধে সরকারের অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি অভিযান অব্যহত রাখার কথা জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।