দেশে আখ চাষে জমির পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি আখের ফলন ও চিনি উৎপাদন ২০ শতাংশ বাড়াতে চায় সরকার। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গত অর্থবছরের চেয়ে এ বছর শতকরা ২০ ভাগ বাড়িয়ে তা অর্জনে একযোগে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) আওতাধীন রাজশাহী সুগার মিলস, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস ও নাটোর সুগার মিলস লিমিটেড পরিদর্শনের সময় বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
শিল্পসচিব বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অবৈধ পাওয়ার ক্র্যাশিং মেশিন (গুড় মাড়াই কল) পরিচালনা কার্যক্রম বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে। মিলজোন চাষিদের অন্যত্র আখ বিক্রি রোধে সচেতনতা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি আইনি তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। উন্নত, মানসম্পন্ন ও অধিক ফলনশীল আখবীজের বপন বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষত, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ব্যবহৃত আখবীজ ভ্যারিটির পরীক্ষামূলক ফলন যাচাই করা যেতে পারে।’
এ সময় কারখানার প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকশন প্ল্যান (আইএপি) দাখিলেরও নির্দেশ দেন জাকিয়া সুলতানা। ওভারহেড কস্ট কমানোসহ চিনির উৎপাদন বাড়াতে সামগ্রিক পরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজশাহী সুগার মিল চালু রাখার লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগ কাজে লাগিয়ে সরকারের চিনির পাশাপাশি বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের (ডাইভারসিফিকেশন) পরিকল্পনা রয়েছে।’
তিনি নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের স্ক্র্যাব মালামাল বিধিমোতাবেক বিক্রির পাশাপশি পুরোনো যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে শ্রমিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে আখ চাষিদের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন শিল্পসচিব।
নর্থবেঙ্গল সুগার মিল জোনের চাষিদের নিয়ে আখ রোপণ মৌসুমের শুভ উদ্বোধনের পাশাপাশি মিলগুলো পরিদর্শনের সময় প্রতিটি মিলে গাছের চারা রোপণ করেন তিনি। পরে তিনি রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী-২ প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মু. আনোয়ারুল আলম, নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, বিএসএফআইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সুগার মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্থানীয় আখ চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।
