খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমরা নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার চাই। কিন্তু একশ্রেণির ব্যবসায়ী খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে সেটাকে অনিরাপদ করে তোলেন।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ‘ন্যাশনাল ডিসেমিনেশন ওয়ার্কশপ অভ ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটি স্টাডিজ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, নিরাপদ ও পুষ্টি তথ্যের পাশাপাশি অনিরাপদ খাবারের বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে কৃষির উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায়, কীভাবে সংরক্ষণ করলে চাল দীর্ঘদিন ভালো থাকে তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবহারে সঠিক তথ্য-উপাত্ত থাকা জরুরি। উৎপাদন কতটুকু আর ব্যবহার হচ্ছে কতটুকু সেটা জানা থাকলে খাদ্য ও পুষ্টির জন্য পরিকল্পনা করা সহজ হয়। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক তথ্য আরও গুরুত্বপূর্ণ।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যতটুকু খাবার খাই তার থেকে অনেক বেশি অপচয় করি। খাবার অপচয় কমাতে হবে। ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা করার প্রবণতা কমানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে তাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেকসই ও সহনশীল খাদ্যব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারের নানা ধরনের উদ্যোগ রয়েছে। খাদ্যের অপচয় রোধ এবং পুষ্টিকর খাদ্য সকলের জন্য নিশ্চিত করে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. সাশসুল আলম।
এছাড়া জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের হেড অফ কোঅপারেশন এর মাওরিজিও চিয়ান এবং ইউএসএইড এর ডেপুটি অফিস ডিরেক্টর রেবেকা মোয়ানিকেলা রবিনসন বক্তব্য রাখেন।