৬ মাসে ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে এক হাজার ১৩৫ জন

0
122

ধীরে ধীরে ব্যাংকিং খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ষান্মাসিক (জানুয়ারি-জুন) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৩৭৮ জন। আর নারী কর্মীর সংখ্যা গত ৬ মাসে বেড়েছে এক হাজার ১৩৫ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে মোট ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন কর্মী বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৭১ জন আর নারী ২৯ হাজার ৫১৩ জন। অর্থাৎ মোট কর্মীর মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ রয়েছে প্রায় ১৬ (১৫ দশমিক ৮০) শতাংশ। বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে মোট ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন নারী ও পুরুষকর্মী রয়েছেন। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৬ বাণিজ্যিক ব্যাংকে মোট ৫০ হাজার ৫৬৭ জন কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ রয়েছেন ৪২ হাজার ৫৪৪ জন এবং নারী ৮ হাজার ২৩ জন। মোট কর্মরতের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তিন বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংকে মোট কর্মরত রয়েছেন ১৩ হাজার ৩০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষকর্মী রয়েছেন ১১ হাজার ৪৭৭ জন এবং নারী রয়েছেন ১৮২৮ জন। এখানে নারীদের অংশগ্রহণের হার ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। বেসরকারি ৪২ ব্যাংকে মোট ১ লাখ ১৯ হাজার ১১৭ জন কর্মরত আছেন। এর মধ্যে পুরুষ রয়েছেন ১ লাখ ৩৯৫ জন আর নারী ১৮ হাজার ৭২২ জন যা মোট কর্মরতদের মাত্র ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ। আর ৯ বিদেশি ব্যাংকে মোট ৩ হাজার ৭৯৫ জনের মধ্যে নারী রয়েছেন ৯৪০ জন। এসব ব্যাংকে আলোচিত সময়ে বোর্ড সদস্য হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে ১২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকে বোর্ড সদস্য অংশগ্রহণের হার বেশি (১৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ)। আলোচ্য সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে এ হার সবচেয়ে কম।

তবে ৬০ তফসিলি ব্যাংকে নারী কর্মীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস কার্যকর রয়েছে। ৫৫টি ব্যাংকে সেক্সুয়াল হ্যারেসমেন্ট প্রভিনশন বা অ্যাওয়ারনেস পলিসি রয়েছে। ৪৮টি ব্যাংক জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি বা অ্যাওয়ারনেস ট্রেনিং আয়োজন করেছে। ২৯টি তফসিলি ব্যাংক তাদের কর্মীদের জন্য শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র স্থাপন করেছে। নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টার পর কর্মকর্তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ৩২টি ব্যাংকের নিজস্ব পরিবহন সুবিধা রয়েছে।

অন্যদিকে, ৩৪ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সবগুলোতেই ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি রয়েছে। ২২টি প্রতিষ্ঠানে সেক্সুয়াল হ্যারেসমেন্ট অ্যাওয়ারনেস পলিসি রয়েছে। ১৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি অ্যাওয়ারনেস ট্রেনিংয়ের আয়োজন করেছে। ২২ আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজ কর্মস্থলে যাতায়াতে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা রেখেছে। তবে একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যগুলোতে শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র নেই।

আপনার মতামত প্রদান করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here