অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ছাড়পত্র নিয়ে ব্যবসা করছে। সুতরাং সংশ্লিষ্টদেরও দায় নিতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি ক্রয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এরা মানুষকে সব সময় ঠকায়। তবে ঠকানোর ধরন ভিন্ন। আগে এরা (ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান) ম্যানুয়ালি ঠকাতো, এখন ডিজিটালি ঠকাচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে দায়িত্ব নিতে হবে। যাতে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা না করতে পারে।’
সরকারি অফিস বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় মানুষের চাপ বাড়ছে। পড়ালেখাসহ নানা কারণে আমরাও এক সময় ঢাকায় আসি। তবে সরকার গ্রামের দিকে নজর দিচ্ছে। গ্রামে শহরের সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস এক সময় মানুষ আর শহরমুখী হবে না। গ্রামে শহরের সব সুবিধা তৈরি হবে। সরকার গ্রামকে শহরের রূপ দিতে নানা ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।’
সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। যার যত বেশি বিনিয়োগ, তার মুনাফার হার হবে তত কম। ১৫ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের মুনাফা একই থাকছে। যারা নতুন করে সঞ্চয়পত্র কিনবেন, শুধু তাদের জন্য পরিবর্তিত হার কার্যকর হবে। আগের কেনা সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেটি পুনঃবিনিয়োগ করলে তখন নতুন মুনাফার হার কার্যকর হবে। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয়ের জন্য নতুন এই মুনাফার হার প্রযোজ্য হবে।’