চিনির দাম নির্র্ধারণ হয়েছে, তবে মিলছে না সেই দামে

0
215

চিনির ঊর্ধ্বমূল্য রোধে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশন। ওই হিসেবে প্রতি কেজি খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭৪ টাকা ও প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির খুচরা মূল্য ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এ দামে বাজারে কোথাও মিলছে না চিনি।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৮০ থেকে ৮২ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ৮৪ থেকে ৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা নির্ধারিত মূল্যের থেকে অনেক বেশি। এ ছাড়া বাজারে সরকারের মিলের লাল চিনি ৯৫ টাকায় উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক দোকানেই মিলছে না চিনি। এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর অপরিশোধিত চিনির আন্তর্জাতিক বাজারদর এবং স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন ব্যয় বিবেচনায় এনে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে দাম নির্ধারণ করেছে সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশন।

জানা যায়, ৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়তে থাকায় প্রতি কেজি খোলা চিনি ৮৫ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ৯৮ টাকা করার প্রস্তাব করে সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭৪ টাকা ও প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ১০ সেপ্টেম্বর থেকে তা বাজারে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। এমনকি এ সিদ্ধান্তের কোন প্রভাবও নেই বাজারে। ক্রমাগত পণ্যটির দাম বাড়ছে।

এমন পরিস্থিতিতে প্যাকেটজাত কোম্পানিগুলোও চিনির দাম বাড়িয়েছে। কোম্পানিভেদে প্যাকেটে ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা দাম লেখা আছে। পুরোনো চিনি অনেক দোকানেই প্যাকেটে যে দাম লেখা আছে, তা মুছে বিক্রি করা হচ্ছে বাড়তি দাম।

এদিকে চিনি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মজুদ থাকা চিনিগুলো বেশি দামে কেনা আছে। তাই সরকার দাম নির্ধারণ করলেও কম দামে চিনি বিক্রি করা সম্ভব না।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আজকের তথ্যানুযায়ী রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম বছর ব্যবধানে ২৪ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর চিনির দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।

আপনার মতামত প্রদান করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here