দেশের চিনি শিল্পকে ঢেলে সাজানোর জন্য সংস্থাটির অতিরিক্ত জনবল ছাঁটাইয়ের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। রোববার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির নবম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, একেএম ফজলুল হক, মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ এবং পারভীন হক সিকদার বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারের মজুদ ও ভরা মৌসুমে নিরবচ্ছিন্নভাবে সার বিতরণের জন্য পদপেসমূহ, চিনি শিল্পের ‘পরিবেশ বান্ধব আখের চিনি কারখানা স্থাপন প্রকল্প’ ও বিট থেকে চিনি উৎপাদন প্রকল্পের অগ্রগতি, বাজারে চিনির দাম ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের করণীয়, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন কারখানার তির পরিমাণ নির্ধারণ, বিসিকের চলমান ও প্রস্তাবিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতিসহ বিএসইসির বাস্তবায়নাধীন রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থায় জনবল নিয়োগের বিষয়েও পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকে রমজান মাসের আগেই বাজার পরিস্থিতি স্থীতিশীল রাখার লক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরাসরি চিনি আমদানি করা এবং চিনি শিল্পকে ঢেলে সাজানোর জন্য এ শিল্পে অতিরিক্ত জনবল ছাঁটাইয়ের সুপারিশ করা হয়।
সভায় ইরির আসন্ন ভরা মৌসুমে নিরবচ্ছিন্নভাবে যাতে সার বিতরণ করা যায় সে লক্ষে সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিক ও বাফার ইনচার্জদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করে সার্বিক কাজ ত্বরান্বিত করা হয়েছে বলে কমিটিকে অবহিত করা হয়।
সভায় জানানো হয়, বিএসইসি এ পর্যন্ত ৫৩টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে ৭টির কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৬টির কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া কমিটি ঢাকা স্টিল এবং ব্লেড ফ্যাক্টরিতে (সোর্ড ব্লেড) জরুরি ভিত্তিতে উৎপাদন শুরুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কমিটি জোর সুপারিশ করে।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।