বাজুস সভাপতি এনামুল হক খান দোলন বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বর্ণ নীতিমালা। যারা স্বর্ণ ব্যবসা সম্প্রসারণ করে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে বিগত সময় থেকে আজ পর্যন্ত অবদান রেখেছেন তাদের জন্য আমরা এই সম্মাননা প্রদানের আয়োজন করেছি। স্বর্ণালঙ্কার তৈরির ব্যয় আমাদের প্রতিবেশী দেশের তুলনায় তিনগুণ। স্বর্ণালঙ্কার তৈরিতে ওয়েস্টেজ কমিয়ে আনতে হবে। বাজুসের আগামী কমিটি আমাদের জন্য একটি ভবন ও একটি জুয়েলারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করবেন বলে আশা করি।’
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আয়োজিত ‘গুণীজন সংবর্ধনা-২০২১’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বর্ণ খাতসহ অন্যান্য খাতের ব্যবসায়িরা।
বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ রায় বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর আগামী কমিটির দায়িত্ব নিয়ে জুয়েলারি মালিক সমিতির অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করবেন বলে আমি আশা করি। জুয়েলারি ব্যবসার উন্নয়নে আমরা একেকজন একেক কাজ করছি। আমরা আগামীতে আর স্বর্ণের বার আমদানি করবো না। বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেডে তৈরি মেড ইন বাংলাদেশ লেখা বার রপ্তানি করবো।’
বাজুসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান আজাদ বলেন, ‘আগামী কমিটি জুয়েলারি ব্যবসা সম্প্রসারণে ভ্যাট-ট্যাক্স সম্পর্কিত জটিলতাগুলো দূর করবেন বলে আশা করছি।’
বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘বড় বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশে প্রথম এবং একমাত্র গোল্ড রিফাইনারি ‘বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেড’ করার সাহস দেখানোর জন্য গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে ধন্যবাদ। এতে শুধু বাংলাদেশ নয় এশিয়ায় জুয়েলারি শিল্পের বিপ্লব ঘটবে।’
অনুষ্ঠানের অতিথিরা গুণীজন সংবর্ধনা পাওয়া দেশের খ্যাতনামা জুয়েলারি ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে বাজুস ‘গুণীজন সংবর্ধনা-২০২১’ এর সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
বাজুস সম্মাননা পাওয়া তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, ঢাকা স্বর্ণ শিল্পী শ্রমিক সংঘ, ঢাকা গোল্ড লিমিটেড ও বাংলা গোল্ড (প্রা.) লিমিটেড। আর জুয়েলারি খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাজুস সম্মাননা পাওয়া ১১ জন হলেন- আলী আকবর খান (মরণোত্তর), এ জেড এম ছানাউল্ল্যা (মরণোত্তর), শামসুল আলম (মরণোত্তর), এম. এ. হান্নান আজাদ, দিলদার আহমেদ সেলিম, ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, এম. এ. ওয়াদুদ খান, ডা. দিলীপ কুমার রায়, কাজী সিরাজুল ইসলাম এবং গঙ্গা চরন মালাকার।
আরিশা জুয়েলার্স লিমিটেডের এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোতে সোনার অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব রয়েছে। এই শিল্পে মূল্য সংযোজন অনেক বেশি হয়। হাতে তৈরি গহনার প্রায় ৮০ শতাংশ বাংলাদেশ ও ভারতে প্রস্তুত হয়। কিন্তু সোনার গহনা রপ্তানিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। অথচ রপ্তানিতে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সহসভাপতি আমিন হেলালী, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল।