সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের মিশ্র প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে লেনদেনে কিছুটা ধীরগতি।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২৭ পয়েন্ট বাড়লেও ইসলামী শরিয়া ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক ১ পয়েন্ট কমেছে। সূচকের এই মিশ্র প্রবণতার মধ্যে এক ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে লেনদেনের সময় দুই মিনিট পার হতেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। এতে সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ১১ পয়েন্ট কমে যায়।
অবশ্য এই পতনের ধারা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। প্রথম ১৫ মিনিটের লেনদেন শেষ হতেই আবার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। প্রায় আধঘণ্টা ধরে অব্যাহত থাকে দাম বাড়ার ধারা। ফলে ১০টা ৪৫ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
এরপর আবার বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। ফলে নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা ১১টা ১০ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের তুলনায় ১৯ পয়েন্টে বেড়েছে। তবে অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট কমেছে।
এসময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৯টির। আর ৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪৫২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৭ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৮৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির।