নতুন ব্যবসার সুযোগ অন্বেষণ ও এফডিআই আকৃষ্ট করতে শুরু হলো সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলন। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন হতে ভাচুর্য়ালি অংশগ্রহণ করেন এবং সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বিশেষ অতিথি এবং এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী সেশনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ উদ্বোধনী সেশনে বক্তব্য রাখেন।
সপ্তাহব্যাপী এ বিনিয়োগ সম্মেলনে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা ও সম্ভাবনার ওপর ভিত্তিতে, বিশেষ করে অবকাঠামো (ভৌত অবকাঠামো, লজিস্টিক্স ও জ্বালানি), আইটি ও আইটিইএস ও ফিনটেক, চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, অটোমোটিভ ও হালকা প্রকৌশল, প্ল্যাস্টিক পণ্য, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পাট ও বস্ত্র এবং এফএমসিজি (ফাস্ট মুভিং ভোগ্যপণ্য) এবং খুচরা ব্যবসাসহ নয়টি খাত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বাংলাদেশসহ পাঁচটি মহাদেশের ৩৮টি দেশের ৫৫২টি কোম্পানি ৪৫০টি বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) ম্যাচ মেকিং সেশনে অংশগ্রহণ করবে। এতে বাংলাদেশে নতুন ব্যবসার সুযোগ অন্বেষণ করতে এবং এফডিআই আকৃষ্ট করতে সাহায্য করবে।
তাছাড়া বিভিন্ন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ছয়টি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হবে, যেখানে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকরা অংশ্রগ্রহণ করে এই বিষয়ে তাদের সুচিন্তিত মতামত দেবেন। এ ভার্চুয়াল সামি কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন বাংলাদেশের প্রস্তুতি বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের কাছে তুলে ধরবে।
বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ ও ইউরোপের অর্থনীতি : ‘নতুন নীতি কাঠামো’, ‘এলডিসি হতে বাংলাদেশের উত্তরণ ও প্রস্তুতি’, ‘মধ্যপ্রাচ্য ও বাংলাদেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সহযোগিতা’, ‘এশিয়া-প্যাসিফিক ও বাংলাদেশ : অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’, ‘বাংলাদেশ ও আফ্রিকার মধ্যকার বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সহযোগিতা : নতুন দিগন্তের সম্ভাবনা’ এবং ‘বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে সহায়ক ঋণ প্রক্রিয়া’ শীর্ষক ৬টি ওয়েবিনার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট খাতের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করবেন।