দেশে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ

0
76

আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে দেশেও চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্থির হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ দাঁড়িয়েছে, যা আগস্টে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশে দাঁড়ানোর অর্থ হলো গত বছরের সেপ্টেম্বরে যে পণ্যটি ১০০ টাকায় কেনা যেত, সেটি কিনতে এ বছরের সেপ্টেম্বরে লেগেছে ১০৫ টাকা ৫৯ পয়সায়।

বৃহস্পতিবার ওয়েবসাইটে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিএস। এতে দেখা যায়, শহর ও গ্রাম দুই জায়গাতেই খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার সেপ্টেম্বরে বেড়ে ৫ দশমিক ২১ শতাংশ হয়েছে, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।

আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। বিবিএসের পরিরসংখ্যানে দেখা যায়, নিত্যপণ্যের চেয়ে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের পেছনে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে মানুষের। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহন, আসবাব ও বিনোদনের পেছনে খরচ বেড়েছে।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৩ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরেছে সরকার। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে এই লক্ষ্য ধরা ছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। কিন্তু অর্থবছর শেষ হয় ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে।

অর্থাৎ বাজেটের লক্ষ্যের চেয়ে খানিকটা বেশি ছিল গড় মূল্যস্ফীতি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করার পর থেকেই বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বাড়ছে। তার প্রভাব পড়েছে ছোট-বড় সব দেশে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফসহ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছে, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, খাদ্যশস্য ও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে খাদ্যের মূল্য এখন ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এফএওর খাদ্যমূল্য সূচক দাঁড়িয়েছে ১৩০। অথচ গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ৯৭ দশমিক ৯ শতাংশ। খাদ্যে ব্যয় বৃদ্ধি অবস্থাপন্ন মানুষের জন্য বড় সমস্যা না হলেও দরিদ্র মানুষের জন্য তা বড় সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়ে যায়। কারণ আনুপাতিক হারে দরিদ্র মানুষের খাদ্যব্যয় তুলনামূলকভাবে বেশি।

সংস্থাটি বলছে, সারা বিশ্বেই পণ্যের মূল্য বাড়ছে। ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই মূল্যস্ফীতি বাড়তির দিকে। আবার এ সমস্যার শীঘ্রই সমাধান হচ্ছে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত প্রদান করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here