বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ২০১৭ সালে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ করতে সম্মত হয় দুই দেশের সরকার। এ লক্ষ্যে একটি টার্মস অব রেফারেন্সও তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখনো তা বাস্তব রূপ লাভ করেনি। সেই যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপকে নভেম্বরের মধ্যে চালু করতে আগ্রহী বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোই প্রেফনটেইন।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
হাইকমিশনার বেনোই জানান, এ কাজে এরইমধ্যে কানাডার পক্ষ থেকে বেসরকারি খাতের চারজন প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে কানাডিয়ান হাইকমিশনার বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজারের বিকাশসহ আর্থ-সামাজিক নানা সূচকে এ অঞ্চলের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল অর্থনীতির দেশ হয়েও কানাডার বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশ এখনো অনেকটাই অপরিচিতি। তাই নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিবেচনা করেন না দেশটির উদ্যোক্তারা। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করতে এরইমধ্যে সিনিয়র ট্রেড কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে কানাডা দূতাবাস।
কানাডিয়ান হাইকমিশনারের এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমি নিজে এই গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে আছি। চলতি মাসেই যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবো।
তিনি জানান, বাংলাদেশে নির্মাণাধীন ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে অনেকগুলো দেশ বিনিয়োগ করেছে। কানাডার বিনিয়োগকারীদের জন্যও এসব অঞ্চল আকর্ষণীয় হতে পারে। প্রাথমিকভাবে কানাডাকে টেক্সটাইল, চামড়াজাত পণ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সিরামিকস, আসাবাব শিল্প, অবকাঠামো ও ব্লু-ইকোনমি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মো. জসিম উদ্দিন।
এই সাক্ষাতে এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি এম এ মোমেন বলেন, বিশ্ব বিনিয়োগকারীরা নানা কারণে বিনিয়োগের জন্য চীনের বিকল্প গন্তব্য খুঁজছে। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিবেচনা করতে পারে। এ সময় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য কানাডার ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।