ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে সরে আসছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ মঙ্গলবার অফিস ছাড়ার সময় সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ই-কমার্স বা ইভ্যালির দুর্নীতি দুদকের শিডিউলভুক্ত অপরাধ নয়। শুধু মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টি দেখে আমরা এটি আমলে নিয়েছিলাম।’
গত জুলাইতে ইভ্যালির অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছিল সংস্থাটি।
ইভ্যালির বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে না পারার অভিযোগ ছিল অনেক দিন ধরে। এসবের মধ্যেই গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এরপর গুলশান থানায় করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাদের তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। এই মামলায় রিমান্ড শেষে ধানমন্ডি থানায় করা অর্থ আত্মসাতের অপর এক মামলায় রাসেলকে ফের রিমান্ডে পাঠানো হয়। আসামি দুজনই বর্তমানে কারাগারে।
এ ছাড়া গত ১৬ অক্টোবর ইভ্যালির ওয়েবসাইট ও অ্যাপ বন্ধ করে দেয়া হয়। গঠন করা হয় একটি পরিচালনা পরিষদ। সরকারের সাবেক সচিব ও বর্তমানসহ চার কর্মকর্তাকে পরিষদে রাখা হয়েছে।
হাইকোর্টের গঠন করে দেয়া বিশেষ কমিটির প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে।