বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পর পেঁয়াজ ও চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনির নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত ১১ অক্টোবর পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পাম তেল ও চিনির শুল্ক কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওইদিন দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এ অনুরোধ জানানো হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ জানানোর তিনদিনের মাথায় পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির শুল্ক কমানো হলো। আজ (১৪ অক্টোবর) থেকেই নতুন শুল্কহার কার্যকর হবে। চিনির নতুন শুল্কহার কার্যকর থাকবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পেঁয়াজের নতুন শুল্কহার কার্যকর থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এতো দিন পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক এবং ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক দিত হতো। এখন আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করার কারণে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।
এদিকে, পূজার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ কম আসা ও সেখানে দাম বাড়ার অজুহাতে সম্প্রতি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম হুট করে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। এর প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গত ১১ অক্টোবর বৈঠকে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।