বাজারে ডিম-মুরগির দাম অনেক কম, কৃষিমন্ত্রী বললেন

0
141

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বাজারে অনেক পণ্যেরই দাম কম। আবার কিছু কিছু পণ্যের দাম বেশ বেড়েছে। এর মধ্যে পেঁয়াজ একটি। বাজারে ডিম-মুরগির দাম অনেক কম। দীর্ঘদিন ধরে এসব পণ্যের দাম খুব একটা বাড়েনি। সে ক্ষেত্রে আবার খামারিরা লোকসান দিচ্ছেন। ভালো দাম পাচ্ছেন না।’

সোমবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে ‘শাকসবজি, আলু, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণীত খসড়া রোডম্যাপ’ উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কিছুদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে মানুষ এখন খাদ্যের কষ্টে নেই। আমরা দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। কিছু কিছু খাবারের ক্ষেত্রে দামের সমস্যা হলেও দেশে মঙ্গা বা না খেয়ে থাকার মতো পরিস্থিতি নেই। আমরা পেঁয়াজ নিয়ে অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছি। এর মধ্যে মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা হয়েছিল, যেন চাষিরা ভালো দাম পায়। তার একটি প্রভাব বাজারে পড়েছে। কিন্তু আমদানি এখনও চালু রয়েছে, বাজার স্বাভাবিক করতে বেশকিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

অথচ সরজমিনে দেখা যায়, দফায় দফায় বাড়তে থাকা ব্রয়লার এবং পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম গত সপ্তাহে নতুন করে আরও ১০ টাকা কেজিপ্রতি বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। আর সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। দেশি মুরগির দাম অবশ্য একটু বেশিই বেড়েছে। ৮০০ গ্রাম ওজনের দেশি মুরগির দাম ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা।

উল্লেখ্য, দেশ থেকে গত বছর এক বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্যের রপ্তানি হয়েছে। কিছু বাধা দূর হলেই আগামী দুই বছরের মধ্যে এ রপ্তানির ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। সে লক্ষ্যে রোডম্যাপ করেছে সরকার।

রোডম্যাপ অনুযায়ী, কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০২১-২২ সালে ১.৬৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (সম্ভাব্য) এবং ২০২২-২০২৩ সালে (জুন পর্যন্ত) ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (সম্ভাব্য) আয় করা সম্ভব হবে। আলু রপ্তানির ২০২২ সালে ৮০ হাজার টন, ২০২৩ সালে ১ লাখ ২০ হাজার টন, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৮০ হাজার এবং ২০২৫ সালে ২ লাখ ৫০ হাজার টন আলু রপ্তানি করা সম্ভব বলে খসড়া রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ ইউসুফ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার।

আপনার মতামত প্রদান করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here