পণ্য বিক্রিতে ভ্যাটসহ বিক্রয়মূল্য লিখতে হবে

0
148

এখন থেকে গ্রাহকের কাছ থেকে আলাদা করে পণ্যের দাম ও ভ্যাটের টাকা রাখা যাবে না। যে কোন পণ্য বেচাকেনার তালিকায় বিক্রেতাকে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত করেই পণ্যের দাম লিখতে হবে।

পাশাপাশি বিক্রয়কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) মতো বিক্রয় চালান মুদ্রণের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। গত ৪ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

এনবিআরের আদেশে বলা হয়, এখন থেকে ইএফডির মতো বিক্রয় চালান মুদ্রণের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং অনুরূপ চালান ব্যতীত ভিন্ন কোন চালান যেমন- কথিত সেটেলমেন্ট বা খসড়া চালান ইস্যু করা যাবে না।

আদেশে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৩ জুন জারি করা আদেশের অনুচ্ছেদ-২ এর দফা (গ) এর ৬ নম্বরে এ বিষয়টি যুক্ত হবে। বিষয়টি হলো- সরবরাহ করা পণ্য বা সেবার বিবরণ, পরিমাণ, একক মূল্য (মূসক বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মূসক ও সম্পূরক শুল্কসহ), মোট মূল্য (মূসক বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মূসক ও সম্পূরক শুল্কসহ) এবং মূসক বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মূসক ও সম্পূরক শুল্কের হার ও পরিমাণের ক্ষেত্রে সব মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রদর্শিত হবে।

এনবিআরের আদেশে জানানো হয়, পণ্যের দাম, ভ্যাটের পরিমাণ ও সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য হলে আলাদা করে লিখতে হবে। যেমন- রেস্তোরাঁ বা ফাস্টফুডের দোকানে টেবিলে প্রদর্শিত খাবারের তালিকা থাকে। সেখানে খাবার তালিকায় মূল্য লেখার পাশাপাশি ‘প্লাস’ শব্দটি লিখে ভ্যাট প্রযোজ্য বলা থাকে। ভোক্তা যখন বিল পরিশোধ করতে যান তখন ভ্যাট যুক্ত করে বিল রাখা হয়। তবে এখন থেকে সেটা করা যাবে না। আগেই খাবারের মূল্য ও ভ্যাট লিখতে হবে তালিকায়। যেন গ্রাহক বুঝতে পারেন খাবার গ্রহণ শেষে তাকে মোট কত টাকা পরিশোধ করতে হবে।

এসি রেস্তোরাঁ বা ফাস্টফুডে খাবারের ওপর ১০ শতাংশ এবং নন-এসি রেস্তোরাঁয় সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা আছে।

আপনার মতামত প্রদান করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here