নতুন ও পুনঃপ্রচলনযোগ্য ব্যাংক নোটের ওপর যে কোন ধরনের লেখা, সিল মারা এবং নোটের প্যাকেটে স্ট্যাপলিং পরিহার করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রতিটি প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট ব্র্যান্ডিং করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারীর স্বাক্ষর ও তারিখ সংবলিত লেবেল/ফ্ল্যাইলিফ লাগানোর বিধান থাকলেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে, উক্ত নির্দেশনা লঙ্ঘন করে সরাসরি টাকার ওপর সংখ্যা ও তারিখ লেখা, শাখার সিল, স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর প্রদান, স্ট্যাপলিং ইত্যাদি করা হচ্ছে। এর ফলে, নোটগুলো অপেক্ষাকৃত কম সময়ে অপ্রচলনযোগ্য হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় অর্থেরও অপচয় হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নোটের ওপর লেখা, সিল মারা এবং নোটের প্যাকেটে স্ট্যাপলিং করা বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিন নোট পলিসি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায়, যা মোটেই কাক্সিক্ষত নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গণনাকালে নোটের ওপর লেখা, স্বাক্ষর, সিল প্রদান এবং নোটের প্যাকেটে স্ট্যাপলিং (১০০০ টাকা মূল্যমান নোট ব্যতীত) হতে বিরত থাকা এবং প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট ব্যান্ডিং করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারীর স্বাক্ষর ও তারিখ সংবলিত লেবেল/ফ্ল্যাইলিফ লাগানোর বিষয়টি কঠোরভাবে পরিপালন নিশ্চিত করা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে কারেন্সি নোট/ব্যাংক নোট জমা দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব বিধি-বিধান ও নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য আপনাদের পুনরায় নির্দেশনা দেয়া গেল। ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ (২০১৮ পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নির্দেশনা জারি করা হলো।