খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা ঋণপত্র (এলসি) খুলেছেন কিন্তু এখনও চাল বাজারজাত করতে পারেননি, তাদের জন্য সময় আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
চালের দাম বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা চাল বাজারজাতের সময় বাড়িয়েছে সরকার।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে যেসব ব্যবসায়ী বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করেছেন বা করবেন, তারা সেই চাল ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাজারজাত করতে পারবেন। আগে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমদানি করা চাল বাজারে ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
রোববার সেই শর্ত শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সিনিয়র সহকারী সচিব (বৈদেশিক সংগ্রহ) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা চাল বাজারজাত করতে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময় পাবেন আমদানিকারকরা।
আদেশে বলা হয়, বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা ঋণপত্র (এলসি) খুলেছেন কিন্তু এখনও চাল বাজারজাত করতে পারেননি, তাদের জন্য সময় আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে সরকার বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমোদন দেয়। বাজারে দাম সহনীয় রাখতে আমদানি শুল্কও কমানো হয়।
চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া শুরু হয় গত ১৭ আগস্ট থেকে। এরপর ধাপে ধাপে সময় বাড়িয়ে কিংবা শর্ত শিথিল করে মোট ১৩টি আদেশ জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
প্রথম আদেশে বলা হয়েছিল, বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে ঋণপত্র খুলতে হবে এবং আমদানিকারকদের ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে।
প্রথম দুই দফায় ৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হলেও পরবর্তী আদেশগুলোতে নতুন আমদানিকারকদের অনুকূলে বরাদ্দ বাড়ানো হয়।