ই-কমার্সে নিয়ন্ত্রক সংস্থা চান না উদ্যোক্তারা

সিপিডির সংলাপ

0
89

দেশের অনলাইন বাণিজ্য বা ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে নতুন কোন আইন চান না খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। একই সঙ্গে ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন করে আলাদা নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করার প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন তারা। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি),
আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় অনলাইন বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা ও আইনজীবীরা বলেছেন, নতুন আইন কিংবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন না করে বরং সরকারের উচিত হবে বিদ্যমান যেসব আইন আছে, সেগুলো বাস্তবায়নে নজর দেয়া। একই সঙ্গে সরকারের এক সংস্থার সঙ্গে আরেক সংস্থার সমন্বয় করা।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান, আইনজীবী তানজীব উল আলম, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন, বিডি জবসের প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর, চালডাল ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিম আলিম, শপ আপের চিফ অব স্টাফ জিয়াউল হক, অ্যাসিক্স বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফসানা আসিফ, ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহিদসহ অন্যরা।

ওয়াসিম আলিম বলেন, ‘ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও আলাদা কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই।

শুনতে পাচ্ছি, ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে আলাদা একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করবে সরকার। এটি ই-কমার্সকে আরও কঠিন করে ফেলবে। সরকারের বিদ্যমান যে সব সংস্থা আছে, তাদের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ালে সেটি আরও বেশি কার্যকর হবে।’

ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘ই-কমার্সের জন্য দেশে নতুন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা চাই না। ই-কমার্সে শৃঙ্খলা আনতে হলে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে আরও কার্যকর করতে হবে। প্রতিষ্ঠানটিকে জবাবদিহি করা এখন সময়ের দাবি। প্রয়োজনে তাদের শক্তিশালী করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বড় ভূমিকা ছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের চোখের সামনে এসব ঘটনা ঘটেছে। এখানে তাদের অবহেলা ছিল স্পষ্ট। ব্যাংকগুলোর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’

ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘দেশে বড় একটি সমস্যা বেকারত্ব। অসংখ্য তরুণ বেকার। তারাই ই-কমার্সে বিনিয়োগ করছে। চাকরি না থাকলে তো এখানে আসবেই। ব্যাংকের সুদের হার কম। শেয়ারবাজারও নিরাপদ নয়। তাহলে তরুণ জনগোষ্ঠী যাবে কোথায়? একটা নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করে ফেললাম, আর সঙ্গে সঙ্গে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে-এমনটা ভাবা ঠিক হবে না।’

জিয়াউল হক বলেন, এই যে ব্যাংকিং চ্যানেলে এত টাকা লেনদেন হলো, ব্যাংকের ভূমিকা কী ছিল? ই-কমার্সকে যদি নজরদারি করা হয়, তাহলে নতুন আইনের প্রয়োজন হবে না।’

আফসানা আসিফ বলেন, ‘আমাজনের সঙ্গে আমাদের দেশের ই-কমার্সের বড় পার্থক্য হলো এখানে পণ্য ডেলিভারিতে অনেক সময় নেয়। তা ছাড়া আমাজনের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা আছে, যেটা আমাদের দেশে নেই।’

আপনার মতামত প্রদান করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here