বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের অনেক উন্নতি হয়েছে। যা এশিয়ার শেয়ারবাজারের মধ্যে সর্বোচ্চ রিটার্ন বা মুনাফা দিয়েছে। আমরা এই বাজারকে এগিয়ে নিতে সুশাসনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। এছাড়া নিয়মিত প্রয়োজনীয় বিষয়ে রিফরমস করছি। যাতে করে ফলাফলও পাচ্ছি। এই পরিস্থিতিতে সুইজারল্যান্ডবাসীকে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে এবং সর্বোচ্চ রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ নিতে আহবান করেছেন তিনি।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুইদিনের রোড শো অনুষ্ঠানের প্রথম দিন সুইজারল্যান্ডের জুরিখে তিনি এই আহবান করেন। পরবর্তী রোড শো আগামি ২২ সেপ্টেম্বর জেনেভায় অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বিদেশীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রক্রিয়া ও সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে বিনিয়োগে আহবান করার কারন হিসেবে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, বৈশ্বিক অস্থিরতা শোষণ ক্ষমতা রয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার স্ট্যাবল, সুদ হার অনুকূলে, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পূর্বানুমতি দরকার পড়ে না, নিটা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহজেই বিনিয়োগ করা যায়, মুনাফাসহ রিটার্ন ফেরতের ক্ষেত্রেও অনুমতি নিতে হয় না। সুতরাং খুব সহজেই বিদেশীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে।
এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ অনুকূলে ও ব্যবসাবান্ধব সরকার রয়েছে বলে জানান তিনি। এই পরিস্থিতিতে সুইজারল্যান্ডবাসীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান করেন তিনি। এতে উভয় পক্ষ লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের নারী ও শিশু মৃত্যুহার কমে এসেছে এবং শিক্ষার হার, গড় আয়ু ও জিডিপি বেড়েছে।
দেশের উন্নয়নে ডিজিটালাইজেশনে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলেও জানান বিএসইসির এই চেয়ারম্যান। এছাড়া মেট্রোরেল, স্যাটেলাইট উদ্বোধনের মতো মেগা প্রজেক্টের কাজ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া মেধাবীরা নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে স্টার্ট আপস কোম্পানি পরিচালনা করছে বলে যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিমের সঞ্চলনায় একটি প্যানেল ডিসকাশন ও প্রশ্নোত্তর পর্ব করা হয়। এতে অতিথিদের প্রশ্নের জবাব ও ডিসকাশন করার জন্য মঞ্চে বিএসইসি, সিডিবিএল, সুইজারল্যান্ড-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।