সোশাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক-ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দিতে হলে এবার ভ্যাট দিতে হবে। আগে যেখানে ভ্যাটই ছিল না, এখন দুইবার ১৫ শতাংশ করে মোট ৩০ শতাংশ কর গুনতে হচ্ছে।
কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, অনিবাসী প্রতিষ্ঠানগুলোর ভ্যাট কর্তনের নির্দেশনা পাওয়ার পরই ব্যাংকগুলো তাদের সফটওয়্যারের মধ্যে এই মোডিফিকেশনটা নিয়ে আসে, যাতে করে এই ধরনের লেনদেন যখনই হবে তখন (বিজ্ঞাপনদাতা) গ্রাহকদের থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট স্বয়ংক্রিয় কর্তন করা সম্ভব হয়। ওদিকে গত জুলাই থেকে ফেসবুকের সঙ্গেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বোঝাপড়া হয়েছে যে তারা এ দেশে লিয়াজোঁ অফিস খুলে নিজেরাই ভ্যাট কেটে সরকারের কাছে জমা দেবে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকার বা এনবিআর থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় ব্যাংকগুলো আগের মতোই ভ্যাট কাটছে। আবার ফেসবুকও বিলের ওপর ভ্যাট কর্তন করে গ্রাহকদের পাঠাচ্ছে।
জানা যায়, ব্যাংকগুলো তাদের আদায় করা ১৫ শতাংশ ভ্যাটই সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছে। ওদিকে ফেসবুকসহ অন্য অনেক অনাবাসী প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনের আয়ের ওপর ভ্যাট দেওয়া শুরু করলেও এখানে লুকোচুরি করা হচ্ছে বলে জোরালো অভিযোগ উঠেছে।
‘মূল্য সংযোজন কর আইন-১৯৯১-এর ধারা ৩-এর উপধারা (৩)-এর দফা (ঘ) অনুযায়ী, বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার বাইরে থেকে সেবা (যেমন—রয়ালটি, বিভিন্ন ইন্টারনেট সার্ভিস, ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার ইত্যাদি) সরবরাহের ক্ষেত্রে সেবা গ্রহণকারীর কাছ থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায়যোগ্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব, অ্যামাজন, গুগল, মাইক্রোসফট প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান এই হিসাবে ভ্যাট কাটছে। নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যখন মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড, টিটি বা অন্য কোনো মাধ্যমে যখন এই বিলের টাকা পেমেন্ট করছে, তখন ব্যাংকগুলো আবার ১৫ শতাংশ ভ্যাট কেটে নিচ্ছে।