ভারত অভ্যন্তরে চালের আমদানি মূল্য বৃদ্ধির পরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে চালের আমদানি, চাহিদা ও ক্রেতা সংকটের কারণে আমদানিকৃত চালের পাইকারি ও খুচরা বাজারে কিছুটা হলেও দাম কমতে শুরু করেছে। তিন চার দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজিতে চালের দাম কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা।
আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চালের আমদানি মূল্য না বাড়ালে সাধারণ ক্রেতারা অনেকটায় কম দামে চাল কিনতে পারতেন। ভারত থেকে আমদানি করা স্বর্ণা মোটা চাল বন্দর এলাকার আড়তগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪১ টাকার মধ্যে, যা সপ্তাহখানেক আগেও বিক্রি হতো ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা কেজি দরে, সম্পা কাটারি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৭ টাকার মধ্যে, যা কয়েক দিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ৫৯ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।
চালের চাহিদার তুলনায় আমদানি পরিমাণ বেড়ে যাওয়াই দিন দিন বন্দরের চালের গাড়ির হোল্টেজের পরিমাণ বাড়ছে। বর্তমানে বন্দরের খালাসের জন্য প্রায় শতাধিক চালের গাড়ি অবস্থান করছেন। আর এসব চাল ব্যবসায়ীরা ধীরে-সুস্থে বন্দর থেকে চাল খালাস করছেন। আবার অনেকে বন্দর হতে চাল বিক্রি করছেন। প্রতিদিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ গাড়ি চাল আমদানি হচ্ছে, সে তুলনায় বেচা-কেনা নেই বলয়ে চলে।